মিসরের সাগর উপকূলে খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দী আগের গুপ্তধন আবিস্কার
উরোপিয়ান ইনস্টিটিউট ফর আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজি (আইইএএসএম) মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা করেছে, মিসরের ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে একটি ডুবে যাওয়া মন্দিরের জায়গায় নতুন গুপ্তধন উদ্ধার করা হয়েছে।
ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিক ফ্রাঙ্ক গোডিওর নেতৃত্বে একটি ডুবো প্রত্নতাত্ত্বিক দল আবুকির উপসাগরের প্রাচীন বন্দর শহর থনিস হেরাক্লিয়নে দেবতা আমুনের একটি মন্দিরের জায়গায় আরও বিশেষ কিছু আবিষ্কার করেছে।
দলটি শহরের দক্ষিণ খাল তদন্ত করেছে, যেখানে প্রাচীন মন্দির থেকে পাথরের বিশাল খণ্ড যা খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীর মাঝামাঝিতে একটি বিপর্যয়মূলক ঘটনার সময় ভেঙে পড়েছিল বলে ধারণা করা হয়েছে। দেবতা আমুনের মন্দির যেখানে ছিল ফারাওরা তাকে প্রাচীন মিসরীয় প্যান্থিয়নের সর্বোচ্চ দেবতা এবং ক্ষমতাবান রাজা হিসাবে খেতাব দিয়েছিল।
আইইএএসএম জানিয়েছে, মন্দিরের কোষাগার থেকে মূল্যবান কিছু বস্তু বের করা হয়েছে, যেমন রৌপ্য আচারের যন্ত্র, সোনার গয়না এবং পারফিউমের জন্য ভঙ্গুর আলাবাস্টার পাত্র বা অগুণ্ট। এই জিনিষগুলো তখনকার সময়ে শহরের প্রাক্তন বাসিন্দাদের ধার্মিকতার সাক্ষ্য দেয়।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলেছেন খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দী আগের এ ধরনের সূক্ষ্ম বস্তু আবিষ্কার যা কয়েক মিটার পুরু কাদামাটির স্তরের নীচে চাপা ছিলো তা উদ্ধার করা অত্যন্ত চমকপ্রদ ব্যপার ছিলো। অনেক সহিংসতা এবং বিপর্যয়ের তীব্রতা সত্ত্বেও অক্ষত রয়েছে জিনিষগুলো ।
আইইএএসএম বলেছে (৬৬৪ - ৫২৫ খ্রিস্টপূর্ব) সময়ে নীল নদের ক্যানোপিক শহরের মুখে রাজ্যে প্রবেশাধিকার রক্ষা করছিল কিছু সেনা। এই শাখাটিতে প্রাচীনকালের সবচেয়ে বড় এবং সর্বোত্তম নৌযান ব্যবস্থাও ছিল। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং ভূমিকম্পের পর জোয়ারের ঢেউ ভূমি তরলীকরণের ঘটনা ঘটায়, যার ফলে নীল ব-দ্বীপের ১১০ বর্গকিলোমিটার অংশ সম্পূর্ণভাবে সমুদ্রের নিচে বিলীন হয়ে যায়, যার সাথে থনিস হেরাক্লিয়ন শহরটিও তলিয়ে যায়। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


