জেল অপরাধী চক্র মুক্ত করতে ট্যাংকসহ ১১ হাজার সেনা অভিযান, নিহত ৩৮
ভেনেজুয়েলার বহুজাতিক অপরাধী চক্রের হোতা ট্রেন ডি আরাগুয়া ১৬০০ কয়েদির টোকরোন জেলখানার নিয়ন্ত্রণ দখল করে সেটিকে তার প্রধান ঘাঁটিতে পরিণত করেন। তার অপরাধ চক্রের জাল কলাম্বিয়া, ব্রাজিল, পেরু, ইকুয়েডোর, চিলি ও বলিভিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছে।
ভেনেজুয়েলার কর্মকর্তারা বলেছেন, অপরাধী চক্রের হোতারা অন্যান্য কয়েদীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং তাদেরকে ‘ এক ধরণের দাস’ হিসেবে ব্যবহার করেন। অভিযানে এক সেনা ও ৩৭ কয়েদি নিহত হয়েছেন।
ভেনিজুয়েলার এ জেলখানাটি অপরাধী চক্রের হাত থেকে মুক্ত করার পর সেখানে যেসব বিস্ময়কর নিষিদ্ধ জিনিস পাওয়া গেছে তার মধ্যে রয়েছে বিটকয়েন মাইনিং ম্যাশিন, রকেট লাঞ্চার, গ্রেনেড, মারিজুয়ানা, হেরোইন ও দামি মোটরবাইক। কর্মকর্তারা বলেন, অপরাধীরা এ জেলখানাকে তাদের জন্য বিনোদনের স্থানের রূপান্তরিত করেন। তারা সেখানে খেলার মাঠ, সুইমিংপুল, নাইটক্লাব ও চিড়িয়াখানা তৈরি করেন। তাদের গার্লফ্রেন্ড বা স্ত্রীরাও সেখানে তাদের সঙ্গে থাকতেন।
ট্যাংক ও সাঁজোয়াযানের সমর্থনপুষ্ট হাজার হাজার সেনা অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার টোকরোন জেলখানার নিয়ন্ত্রণ দখল করার পর এসব জিনিস ও স্থাপনা দেখানো হয়। স্বরাষ্ট্র ও বিচারমন্ত্রী রেমিংগো সেবালোস বলেন, এক বছর আগে এ অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
ট্রেন ডি আরাগুয়া এ জেলখানাকে ঘাঁটি বানিয়ে ভেনেজুয়েলা ও লাটিন আমেরিকার অন্যান্য দেশে অপরাধীচক্রগুলোকে পরিচালনা করতেন। রেমিংগো সেবালোস বলেন, তাদের কাছ থেকে টেলিভিশন ও মাইক্রোওয়েভ এবং এয়ার কন্ডিশনারও উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলো গোলাগুলির সময় মারা গেছে।
তিনি বলেন, অপরাধী চক্রের সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগে ৪ কারারক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোনো অপরাধী ও তাদের সহযোগীকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
অভিযানের সময় কয়েদীদের অনেক আত্মীয়স্বজন সেখানে সমবেত হন। তারা তাদেরকে বন্দী স্বজনের অবস্থা এবং তাদেরকে কোথায় সরিয়ে নেওয়া তা জানার চেষ্টা করেন।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


