আবারও অগ্নিগর্ভ মণিপুর, বন্ধ হলো ইন্টারনেট
দুই তরুণ শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে রাজ্যটির রাজধানী ইম্ফল। জানা গিয়েছে, প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ দেখাতে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাড়ির দিকে রওনা দেয়। কিন্তু তাদের মাঝপথেই আটকে দেয় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। দুইপক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সরাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও স্মোক বম্ব ব্যবহার করে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৪ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্র: টিভিনাইন
গত জুলাই মাস থেকে ওই দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ থাকলেও, চলতি সপ্তাহের সোমবারই তাদের মৃতদেহের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে মণিপুরে ফের পাঁচদিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এই দুই তরুণ শিক্ষার্থীর হত্যার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে মণিপুর সরকার। বুধবারই বিশেষ বিমানে ইম্ফল পৌঁচেছে সিবিআইয়ের দল। তদন্তকারীদের দলে আছেন সিবিআইয়েরর সেকেন্ড-ইন কমান্ড অজয় ভাটনগরও।
জানা গিয়েছে, এই সংঘর্ষের পরই প্রশাসনের তরফে আগামী ৫ দিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়। আগামী ১ অক্টোবর সন্ধ্যে ৭টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে। রাজ্যজুড়ে জারি করা হয়েছে সতর্কতাও। অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে উত্তপ্ত বেশ কয়েকটি জায়গায়।
মঙ্গলবার রাতেই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জানান, ওই দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং ঘটনার সমস্ত আপডেট জানানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সূত্রের খবর, আগে থেকেই মণিপুরে উপস্থিত রয়েছেন সিবিআইয়ের যুগ্ন ডিরেক্টর ঘনশ্যাম উপাধ্যায়। এছাড়াও তদন্তকারী দলে স্পেশাল ক্রাইমের একাধিক শীর্ষ কর্তা উপস্থিত থাকবেন, যারা ঘটনাস্থল পুনর্নিমাণ, জেরা ও টেকনিক্যাল সার্ভেল্যান্সে পারদর্শী। সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরির কর্মকর্তারাও যাচ্ছেন মণিপুর।


