যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী ইউক্রেনকে আরও আতঙ্কিত করে তুলতে পারে। গত জুলাইয়ে ন্যাটো সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জি-7 নেতা ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ইউক্রেনের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার দুর্বল হবে না
কিন্তু রবিবারের শেষ দিকে মার্কিন কংগ্রেসে সরকারি অবরোধ ঠেকাতে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোয় ইউক্রেনের জন্য একটি নতুন তহবিল চুক্তি বাতিল হয়ে যায়, যার মূল কারণ ছিল কট্টর রিপাবলিকানদের প্রতিরোধ।
পরবর্তী সময়ে কেভিন McCarthy-কে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর স্পিকার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় ইউক্রেনের জন্য সাহায্য নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও বেড়েছে।
জর্দান সেন্টার ফর দ্য অ্যাডভান্সড স্টাডি অব রাশিয়ার প্রধান এবং নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক জোশুয়া টাকার আল জাজিরাকে বলা হয়েছে, স্টপগ্যাপ বিলকে 'এই মুহূর্তে মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনীতির অদ্ভুত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে' দেখা উচিত।
তিনি বলেন, এই বিল রিপাবলিকান পার্টির একটি ছোট অংশের দ্বারা বাধ্য করা হয়েছে এবং এতে মার্কিন রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন প্রতিফলিত হয় না।
এর পরিবর্তে, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন আরও বেশি করে নির্ভর করবে 2024 সালের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে দিকটি বেছে নেবেন তার ওপর।
টাকার সেটা বুঝিয়ে দিল আমেরিকায়, ইউক্রেনকে ঘিরে যে রাজনৈতিক আখ্যান তৈরি হয়েছে, তাতে সরকার যুদ্ধের জন্য অতিরিক্ত অর্থ খরচ করছে কি না, তার দিকেই নজর দেওয়া হচ্ছে, ইউরোপের মতো নয়, যেখানে শক্তির দাম এবং জীবনযাত্রার মানের উপর তার সরাসরি প্রভাবের কারণে সংঘর্ষ শেষ হয়ে যাওয়ার ইচ্ছা বেশি।
সম্ভবত এই পরিবর্তন টের পেয়ে ইইউর বেশিরভাগ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সপ্তাহে প্রথমবারের মতো এই ব্লকের বাইরে ডেকেছিলেন, সোমবার কিয়েভে জনসমক্ষে অবিচল সংহতি প্রদর্শন করে, যখন পোল্যান্ড এবং হাঙ্গেরি প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল।
ইউক্রেনকে কোটি কোটি ইউরোর সামরিক সাহায্য ও যুদ্ধবিমানের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশ বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি জোসেপ বোরেল বলেন, আমি কোনও সদস্য রাষ্ট্রকে স্থবির হতে দেখছি না।
মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন ফোনে তাঁর সমকক্ষদের আশ্বস্ত করে বলেন, যত দিন প্রয়োজন, তত দিন ইউক্রেনকে সাহায্যের অনুমোদন দেবে কংগ্রেস।


