জাতিসংঘের কর্মীদের জন্য গাজার প্রতিটি দিনই অন্ধকার দিন, মোট নিহত ৫৯

গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের অবিরাম বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন এসব জাতিসংঘ কর্মী। রোববার জানিয়েছে জাতিসংঘ এ কথা জানিয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএ-এর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় হামলায় প্রাণ হারানো ইউএনআরডব্লিউএ কর্মীদের সম্মান জানাতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল রোববার।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমাদের সহকর্মীদের নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জাতিসংঘ এবং ইউএনআরডব্লিউএর জন্য প্রতিটি দিন এক একটি অন্ধকার দিন হয়ে উঠছে।’

 প্রসঙ্গত, মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামে একটি বড় অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস।
 
উল্লেখ্য, প্রথম আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পরে ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইউএনডব্লিউআরএ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংস্থটি গাজা, পশ্চিম তীর, জর্ডান, সিরিয়া এবং লেবাননে স্কুলিং (শিক্ষা), প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবিক সহায়তাসহ অন্যান্য মানবিক সেবা প্রদান করে আসছে।
 
এই ঘটনার জের ধরে গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৫ জনে। নিহতদের মধ্যে ৩ হাজার ৩৪২ শিশু, ২ হাজার ৬২ জন নারী এবং ৪৬০ জন বয়স্ক মানুষ।

 এরআগে ইসরায়েলে হামাসের  হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৪০০ জন। নিহতদের মধ্যে ৩১১ জন সেনাসদস্য। হামাসের হামলায় আহত হন আরও ৪ হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি। এছাড়া আরও ২২৯ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news