গাজা ছাড়লেন ৭৬ মারাত্মক রোগী ও ৩০০ বিদেশি 

 সীমান্ত পেরিয়ে মিসর যাওয়ার অপেক্ষায় ফিলিস্তিনের দ্বৈত নাগরিকেরা। গত বুধবার গাজার রাফাহ ক্রসিং দিয়ে উপত্যকা ছেড়েছেন। 

গত ৭ অক্টোবর সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পর এই প্রথম মিসর সংকটাপন্ন রোগী ও বিদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য রাফাহ ক্রসিং খুলে দিয়েছে। বুধবার রোগীদের নিয়ে ১৭টি অ্যাম্বুলেন্সে করে ৭৬ জন রোগী ক্রসিং পার হন। মিসরে চিকিৎসার জন্য এসব রোগীকে সীমান্তের ওপারে নেওয়া হয়েছে। এরপর বিদেশি পাসপোর্টধারীদের একটি দল রাফাহ ক্রসিংয়ে পৌঁছায়। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানান, বুধবার ৩০০ জন বিদেশী পাসপোর্টধারী  ও দ্বৈত নাগরিক ক্রসিং ত্যাগ করেন।

সীমান্তের মিসর অংশে তাদের কাগজপত্র যাচাই করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে বিদেশি পাসপোর্টধারী ৫০০ জনের একটি তালিকা গাজা কর্তৃপক্ষ হস্তান্তর করেছে বলে জানা গেছে। চার সপ্তাহ ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বাচন ও গণহত্যার হাত থেকে বাঁচতে বিদেশী পাসপোর্টধারীরা বিধ্বস্ত উপত্যাকাটি ত্যাগের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। 

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৮৭৯৬ জন নিহত হয়েছেন। পানি-খাবার-ওষুধ-বিদ্যুৎহীন গাজা উপত্যাকায় এখন এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা উপত্যাকাটির পরিস্থিতিকে দোযখ বলে অভিহিত করেছেন। 

এ তালিকার মধ্যে জাপান, অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, ইতালি, গ্রিস, অস্ট্রেলিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া বেসরকারি সংস্থায় কাজ করা বিভিন্ন দেশের নাগরিকও রয়েছেন।

দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী না হওয়া পর্যন্তু যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে বড় ধরণের হামলা চালায়। এতে ১৪০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া তারা আরও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে গেছে। 

এএফপির সাংবাদিকরা ৪০টি অ্যাম্বুলেন্সএর একটি বহরকে রাফাহ ক্রসিং পার হতে দেখতে পান। এ সময় বিদেশি ও দ্বৈত নাগরিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা সে সময় সীমান্ত পার হওয়ার আশায় সেখানে অপেক্ষা করছিলেন।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news