গাজা ‘শিশুদের কবরস্থানে’ পরিণত হচ্ছে: জাতিসংঘ

বিবিসির লাইভ রিপোর্টার স্যাম হ্যানকক বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, গাজা “খুব দ্রুত শিশুদের কবরস্থানে” পরিণত হচ্ছে। সোমবার ভাষণ দেয়ার সময় আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এই উপত্যকার পরিস্থিতি “মানবিক সংকটের তুলনায় বেশি কিছু হয়ে দাঁড়িয়েছে, এটি এখন মানবতার সংকটের পরিণত হয়েছে।”

হামাস ও ইসরায়েলের পরস্পরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরুর মাস পূর্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “শত শত মেয়ে ও ছেলে শিশু হয় নিহত হয়েছে নাহলে আহত হয়েছে।”

গুতেরেস আবারো জরুরী অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানান।
তার এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন। তিনি তার এক্স (সাবেক টুইটার) এ দেয়া পোস্টে জাতিসংঘের প্রধানকে ট্যাগ করে লিখেছেন, “তোমার লজ্জা হওয়া উচিত।” “৩০ জনেরও বেশি অপ্রাপ্তবয়স্ক যাদের মধ্যে নয় মাস বয়সী শিশুও রয়েছে যারা তাদের বাবা-মাকে চোখের সামনে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করতে দেখেছে- তাদেরকে গাজা উপত্যকায় জোর করে আটকে রাখা হয়েছে,” তিনি বলেন। তিনি আরো বলেন, “গাজার সমস্যা হচ্ছে হামাস। সন্ত্রাসী সংগঠন নিশ্চিহ্ন করতে ইসরায়েলের পরিচালিত হামলা নয়।”
 
এরআগে এক যৌথ বিবৃতিতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলে, গাজা এবং ইসরায়েলে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকাণ্ড “ভয়াবহ”।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রে এবিসি নিউজকে বলেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার “সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব” থাকবে ইসরায়েলের হাতে। সেখানে তিনি জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার শর্ত ছাড়া অস্ত্রবিরতির আহ্বান নাকচ করে দিয়েছেন। গত সাতই অক্টোবর হামাস জিম্মিদের আটক করেছিল। তবে মানবিক বিরতি সম্ভব হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। “কৌশলগত বিরতির কথা যদি হয় যে- এক ঘণ্টা এখানে, এক ঘণ্টা সেখানে- এর আগেও আমরা এটা করেছি। আমার মনে হয় আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখবো যাতে করে পণ্য-সামগ্রী, মানবিক পণ্য প্রবেশ করতে দেয়া হয় এবং আমাদের জিম্মি বা কোন এক জিম্মিকে ছেড়ে দেয়া হয়,” বলেন তিনি।

গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে চার হাজার ১০৪ জন শিশু রয়েছে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news