যুদ্ধের পর গাজায় ইসরায়েলি উপস্থিতি সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র : জন কিরবি

 হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যদি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি অব্যাহত রাখাকে সমর্থন করবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জন কিরবি এ কথা বলেছেন।

মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কিরবি বলেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্ট বিশ্বাস করেন, যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর উপস্থিতি কোনোভাবেই সঠিক কোনো পদক্ষেপ হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি ব্যাপারে আমরা অবশ্যই একমত যে যুদ্ধ শুরুর আগ পর্যন্ত গাজা যেমন ছিল যুদ্ধের পর আর তেমন থাকবে না, সেখানকার শাসনক্ষমতায় কাদের থাকা উচিত তা নির্ধারণে অবশ্যই এ যুদ্ধের পর সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যকর আলোচনা শুরু হওয়া জরুরি। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এ ব্যাপারটি দেখছেন।’

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চলানোর পর সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সেই অভিযান এখনও চলছে।

ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি। এছাড়া অন্তত ২৩৪ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গেছে হামাস। অন্যদিকে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর টানা ভয়াবহ হামলায়  গাজায় নিহত হয়েছেন ১০ হাজার তিনশ’রও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত ফিলিস্তিনিদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু ও নারী।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে এই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল যে ইসরায়েল হয়তো যুদ্ধের পর গাজা উপত্যকা দখল করে নিজেদের সীমানার বিস্তার ঘটাবে। সে সময়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছিলেন এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না ইসরায়েলের।

গত ৬ নভেম্বর ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর অঞ্চল সফরে যান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং সেখানকার মাহমুদ আব্বাসকে ইঙ্গিত দেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার শাসনক্ষমতা নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন সরকারের।

ব্লিনকেনের এই সফর শেষ হতে না হতেই পরের দিন ৭ নভেম্বর এবিসি রেডিওকে এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, ‘গাজা উপত্যকার শাসনক্ষমতায় তাদেরই থাকা উচিত, যারা হামাসকে অনুসরণ করতে ইচ্ছুক নয়। আমি মনে করি, গাজার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব ইসরায়েলের হাতে থাকা উচিত এবং তা অনির্দিষ্টকালের জন্য। কারণ সম্প্রতি যা ঘটছে, তা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ছিল না। আমরা এমনটা চাইনি।’ তার এ বক্তব্যের পরদিনে ফের ইসরায়েলকে একই সতর্কবার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news