গাজায় বাস্তুচ্যুত ৭ লাখ শিশু, নিহত ৪৬৩০

গাজায় ইসরায়েলি নৃশংস আগ্রাসন ও গণহত্যার ৩৯ তম দিন মঙ্গলবার। দীর্ঘ এই সময়ে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী গাজায় বিপুল পরিমাণ বোমা ও বিস্ফোরক ফেলে শহরটিকে আক্ষরিক অর্থেই মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। ইসরায়েলের এই নির্বিচার হামলার কারণে অবরুদ্ধ অঞ্চলটির লাখ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত বা ঘরহারা এবং হাজার হাজার নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, বিভিন্ন অস্থায়ী আবাস বা আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই নিয়েছে ঘরহারা গাজার ফিলিস্তিনি শিশু। এই সব শিশুই ইসরায়েলি হামলার কারণে তাদের সবকিছু পেছনে ফেলে আসতে বাধ্য হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৪০ জন। নিহতদের মধ্যে ৪ হাজার ৬৩০ জন শিশু এবং ৩ হাজার ১৩০ জন নারী।

অপরদিকে, গাজায় আশ-শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনিদের লাশ খুবলে খাচ্ছে রাস্তার বেওয়ারিশ কুকুর। হাসপাতাল প্রাঙ্গণে স্তূপাকারে জমা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের লাশ। গত ১২ নভেম্বর হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আলকাইলা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে অ্যারাব নিউজ। এরই মধ্যে ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতালটির প্রধান ফটকে পৌঁছে গেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

আল-কাইলা বলেন, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নিচ্ছে না বরং আহত ও অসুস্থদের রাস্তায় নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এটি সরিয়ে নেওয়া নয় বরং বন্দুকের নলের মুখে উচ্ছেদ।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাজার হাসপাতালগুলোতে এখন বিপর্যয় ঘটছে, যেখানে রোগীরা এখন চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছে। শিশু ও প্রাপ্তবয়স্করা ডায়ালাইসিসের অভাবে মারা যাচ্ছে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news