আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনাদের অনুপ্রবেশ গ্রহণযোগ্য নয় : ডব্লিউএইচও

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় চিকিৎসা কেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশ ও হামলা নিয়ে এ মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। তিনি আরও বলেছেন, হাসপাতাল কখনোই যুদ্ধক্ষেত্র হতে পারে না। আল-শিফা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে ইসরায়েলি সৈন্যদের হামলা  চালানোর পর বুধবার (১৫ নভেম্বর) জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেছেন।

ডব্লিউএইচও প্রধান হাসপাতালে হামলার বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার। তিনি বলেছেন, হাসপাতালে হামলায় বিশ্ব চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। গেব্রেইয়েসুস বলেন, ‘আমরা হাসপাতালের স্টাফ এবং রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবচেয়ে জরুরি।’

আল-শিফা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে ডব্লিউএইচও যোগাযোগ হারিয়েছে উল্লেখ করে গেব্রেইয়েসুস বলেন, হাসপাতালের মতো স্বাস্থ্য অবকাঠামো, স্বাস্থ্যকর্মী, অ্যাম্বুলেন্স এবং রোগীদের অবশ্যই কেবল ‘সকল যুদ্ধের’ সময়ই নয়, সামরিক পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে হবে।

ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, ‘এমনকি যদি স্বাস্থ্য অবকাঠামোগুলো সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতেই হয় তবে সেখানে সতর্কতার নীতিগুলো সবসময় মেনে চলতে হবে। রোগী এবং কর্মীদের নিরাপত্তা, সেইসাথে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সুরক্ষা হচ্ছে সর্বোচ্চ গুরুত্বের বিষয়। আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, গত তিন দিনে গাজায় মৃত্যু বা আহতের সংখ্যা সম্পর্কে কোনও আপডেট পায়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর এটিই গাজার বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা তাদের জন্য ‘কঠিন করে তুলেছে’।

গাজার সমস্ত হাসপাতাল বর্তমানে জ্বালানি সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে জানিয়ে গেব্রেইয়েসুস বলেন, হাসপাতালের জেনারেটর, অ্যাম্বুলেন্স, ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং টেলিযোগাযোগ চালু রাখার জন্য ‘প্রতিদিন কমপক্ষে ১ লাখ ২০ হাজার লিটার জ্বালানি প্রয়োজন’। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় সাহায্য প্রবেশে হয়তো সক্ষম হচ্ছি, কিন্তু জ্বালানি ছাড়া আমরা এসব সহায়তা যেখানে নিয়ে যেতে হবে সেখানে পৌঁছাতে পারি না।’

গাজার  মিডিয়া অফিস বুধবার জানায়, ‘ইসরায়েলি সৈন্যরা আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের ভেতরে অনেক রোগী, আহত ব্যক্তি এবং বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের পাশাপাশি বেশ কিছু চিকিৎসা ও নার্সিং কর্মীদের ওপরও হামলা করেছে, তাদের পোশাক খুলতে বাধ্য করেছে এবং অপমান করেছে।’ হাসপাতালটিতে হামাসের ঘাঁটি রয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। া ইসরায়েলের এ দাবিকে সমর্থন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে হামাস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news