গাজায় গণহত্যা চলতে দেওয়া যায় না: জাতিসংঘ ত্রাণ প্রধান
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা ও জরুরি ত্রাণ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি মার্টিন গ্রিফিথস এ মন্তব্য করে বলেছেন, গাজায় চলমান ‘গণহত্যা’ অবশ্যই বন্ধ করা উচিত। একইসঙ্গে ভূখণ্ডটিতে যুদ্ধবিরতিরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার এক বিবৃতিতে গ্রিফিথিস বলেছেন,‘গাজায় হত্যাকান্ডে প্রতিদিনই নতুন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে, হাসপাতালে হামলা হচ্ছে এবং বিশ্ববাসী হতবাক হয়ে তা দেখছে, অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়া শিশুরা মারা যাচ্ছে এবং বেঁচে থাকার সকল মৌলিক উপায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গাজার সব সাধারণ মানুষ।’তিনি বলেন, যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে সম্মান করতে হবে, মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হবে এবং যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।’
মার্টিন গ্রিফিথস জোর দিয়ে বলেন, গাজায় মৌলিক পরিষেবাগুলো পুনরায় চালু করতে এবং প্রয়োজনীয় বাণিজ্যিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার সুযোগ দেওয়ার জন্য সেখানে মানবিক যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের যুদ্ধবিরতি ত্রাণ বিতরণ সহজতর করতে, বন্দিদের মুক্তির সুযোগ করে দিতে পারে এবং বেসামরিক নাগরিকদের স্বস্তি দিতেও এটি কককরা অত্যাবশ্যক।’
রসঙ্গত, গাজার বৃহত্তম চিকিৎসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালটি কয়েকদিন ধরে ঘেরাও করে রাখার পর বুধবার ও বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই মেডিকেল কমপ্লেক্সে অভিযান চালায়। পরে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বুধবার জানায়, ‘ইসরায়েলি সৈন্যরা আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের ভেতরে অনেক রোগী, আহত ব্যক্তি এবং বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের পাশাপাশি বেশ কিছু চিকিৎসা ও নার্সিং কর্মীদের ওপরও আক্রমণ করেছে, তাদের পোশাক খুলতে বাধ্য করেছে এবং অপমান করেছে।’ আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি অভিযানের নিন্দা জানিয়ে একে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
ফিলিস্তিনি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই সাড়ে ১১ হাজারে পৌঁছেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭ হাজার ৮০০ জনের বেশি নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ২৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


