ডক্টর আফিয়ার দীর্ঘ কারারুদ্ধ রাখার সঙ্গে পাকিস্তানের সরকার জড়িত: অভিযোগ বোনের

ডক্টর আফিয়া সিদ্দিকীর বড় বোন ডক্টর ফাওজিয়া সিদ্দিকী এ অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, তার বোনের আইনজীবী ক্লাইভ স্ট্যামফোর্ড স্মিথ মামলার বিষয় তদন্ত করতে আফগানিস্তান সফর করেছেন। 

মার্কিন জেলে ডক্টর আফিয়া সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করেন তার ফাওজিয়া সিদ্দিকী। দেশে ফিরে আসে তিনি বলেন, এরআগের বার তিনি আফিয়াকে যেমন দেখেছিলেন এখন সে তার চেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। 

ফাওজিয়া বলেন, তিন ঘণ্টার সাক্ষাতের পর আফিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয়। পাকিস্তানের নিউরোসায়েন্টিস্ট আফিয়াকে নিউইয়র্কেও ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট হামলা ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে কারাদন্ড দেয়।

আফগানিস্তানের গজনিতে মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারের সময়ের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়। আফিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ১৮ মাস আটক রাখার পর ২০১০ সালে আফিয়াকে ৮৬ বছরের জেল দেওয়া হয়। সেই থেকে তিনি মার্কিন কারাগারে আটক রয়েছেন।

ফাওজিয়া বলেন, তার বোনকে পড়ার জন্য বাইবেল দেওয়া হয় এবং তাকে তা পড়তে বলা হয়। কাঁচের বাঁধার দুই দিকে থেকে দুইবোনের সাক্ষাতের সময় উভয়েই চিৎকার করে কথা বলেন। ফাওজিয়া বলেন, এরআগের সাক্ষাতের সময় চাবি হারিয়ে গিয়েছিল। আর এবার ফোন কাজ করেনি। তার বোন নিয়ে যাওয়ায় তাদের সাক্ষাতের ছেদ পড়ে যায়। 

গত সপ্তাহে আফিয়ার আইনজীবী স্মিথ জিও নিউজকে বলেন, তার মক্কেলকে এখনও টেক্সাসের ফোর্থ ওরথ জেলে অব্যাহতভাবে যৌন নির্যাতন করা হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগেও একজন নিরাপত্তা রক্ষী তাকে ধর্ষণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি আফিয়ার ওপর শারীরিক নির্যাতনও চালানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কাঁচের প্রাচীরের উভয় পাশ থেকে ফাওজিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় কথা বলার জন্য তাদের ফোন কাজ করছিল না। অভিযোগ করার দুইদিন পর অবশ্য আরেকটি ফোন দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।  সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news