গাজায় ১৫ মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর যুদ্ধবিরতির জন্য হামাস এবং ইসরায়েল সম্মত হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে আরব ও মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, কাতারের আমির মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করবেন। 

এটি একটি ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি, যার মধ্যে প্রতি সপ্তাহে তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে রাজি হয়েছে হামাস। গাজাবাসীদের জন্য এটি স্বস্তির খবর, কারণ দীর্ঘ সময় ধরে তারা যুদ্ধের মধ্যে ছিল। রোটার্স জানাচ্ছে, মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের মধ্যে নারী ও ১৯ বছরের কম বয়সীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাবে, এর বিনিময়ে ৩০ জন করে ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন নারী সদস্যের মুক্তির বিনিময়ে ৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবেন। হামাসের নেতা খলিল আল-হায়া জানিয়েছেন, চুক্তি কাতার ও মিসরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তারা অনুমোদন দিয়েছেন। 

এদিকে, ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা জানান, হামাস শেষ মুহূর্তে একটি নতুন শর্ত দিয়েছে, যার মধ্যে গাজা-মিসর সীমান্ত ফিলাডেলফি করিডর থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সরে যাওয়ার দাবি রয়েছে। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির চুক্তি ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য যাবে এবং সেখানে ভোটাভুটির মাধ্যমে এটি পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গাজাবাসী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আনন্দিত হলেও, ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স সতর্কতা জানিয়েছে, তাদের নিরাপত্তার জন্য ইসরায়েলি সেনাদের উপস্থিত এলাকায় যাওয়া থেকে বিরত থাকতে।

news