ইরানের সঙ্গে পরমাণু প্রকল্প বিষয়ক আলোচনা শুরুর প্রেক্ষাপটে দেশটির পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ও একজন ব্যক্তির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার এক বিবৃতিতে মার্কিন ট্রেজারি মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

ট্রেজারিমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, “পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের ইরানের অব্যাহত প্রচেষ্টা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নয়, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। আমরা দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাব যাতে ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি দিয়ে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ব্যাহত না করতে পারে।”

যদিও বিবৃতিতে নির্দিষ্টভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি, তবে মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত পাঁচ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি পূর্ব থেকেই মার্কিন কালো তালিকায় ছিল—অ্যাটমিক অ্যানার্জি অরগানাইজেশন অব ইরান (AEOI) এবং দ্য ইরান সেন্ট্রিফিউজ কোম্পানি (TESA)। এই দুই প্রতিষ্ঠান ইরানের পরমাণু প্রকল্পের মূল দায়িত্বে রয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘে ইরানের মিশনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

এদিকে, হঠাৎ করেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ইরানের পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি আলোচনায় বসবে। তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগশি জানান, আলোচনা হবে পরোক্ষভাবে এবং ওমান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবে।

মঙ্গলবার ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আলোচনা ব্যর্থ হলে ইরানকে ভবিষ্যতে ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা ও কূটনৈতিক কৌশল ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

news