মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও আলোচনাভিত্তিক কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এখন চীন ও রাশিয়ার জন্য সুযোগে পরিণত হয়েছে—এমনটাই দাবি করেছে প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক দ্য হিল। তাদের মতে, ট্রাম্পের আত্মবিশ্বাস ও দাম্ভিকতাকে কাজে লাগিয়ে ভ্লাদিমির পুতিন ও শি জিনপিং ধাপে ধাপে নিজেদের স্বার্থ এগিয়ে নিচ্ছেন এবং মার্কিন অবস্থান দুর্বল করছেন।
পত্রিকাটি জানায়, ট্রাম্প মিত্র ও অর্থনৈতিক অংশীদারদের ‘লোভী’ ও ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে শুল্ক বৃদ্ধিকে যুক্তিযুক্ত দেখাতে চাইছেন। এমনকি এক বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, “বন্ধুরা প্রায়ই শত্রুদের চেয়েও খারাপ।”
দ্য হিল বলছে, ট্রাম্প আলোচনার শুরুতে চরম অবস্থান নিয়ে বিপক্ষকে মানসিকভাবে দুর্বল করে দেন, তারপর তাকে কম ছাড়ে রাজি করান। তবে ইউক্রেন ইস্যুতে তার দ্বিমুখী কৌশল স্পষ্ট। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে করা চুক্তির শর্ত unilateral ভাবে কঠিন করে ট্রাম্প বুঝিয়ে দেন যে তিনি তার রাজনৈতিক স্বার্থে সিদ্ধান্ত বদলাতে প্রস্তুত।
এ সুযোগে পুতিন একদিকে যুদ্ধবিরতির প্রতি ‘নীতিগত সম্মান’ দেখালেও, অন্যদিকে ক্রমাগত ইউক্রেনের অঞ্চল দখল করছেন এবং আলোচনার জন্য নতুন শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও একই কৌশল নিচ্ছেন বলে দাবি করছে দ্য হিল। প্রথমে ট্রাম্পের প্রশংসা করে বন্ধুত্বের বার্তা দেওয়া হয়, এরপর সামরিক হুমকি দিয়ে চাপ সৃষ্টি, আর শেষে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের নাটক তৈরি—এই তিন ধাপে চীন তার কৌশল সাজাচ্ছে।
এই বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ট্রাম্পের আত্মকেন্দ্রিকতা এবং তাৎক্ষণিক লাভ


