গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের প্রস্তাব স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব। তুরস্কের আন্তালিয়ায় অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান এ বিষয়ে দেশের কঠোর অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গাজার মানুষ বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশকে বাধা দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন। গাজায় খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য জরুরি পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান তিনি।
এ বৈঠকে অংশ নেওয়া দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একটি যৌথ বিবৃতি দেন। তারা গাজা, পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিমতীর থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং এই অঞ্চলগুলোকে বর্তমান ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) অধীনে একীভূত করার আহ্বান জানান।
তারা ইসরায়েলের বসতি স্থাপন ও সম্প্রসারণের নীতিরও কঠোর নিন্দা জানান। এ ধরনের দখলদার আচরণ আন্তর্জাতিক আইন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বড় বাধা বলেও মত দেন।
এর আগে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার গাজাবাসীদের নিজ ভূমি থেকে সরিয়ে অন্যত্র বসতি স্থাপন এবং গাজাকে একটি আধুনিক শহরে রূপান্তরের প্রস্তাব দেন।
তবে সৌদি আরব এবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল— ফিলিস্তিনিদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে বড় বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


