ন্যাটোর বেশিরভাগ সদস্য দেশে দেখা দিয়েছে অস্ত্র-শূন্যতা
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহযোগিতা করতে গিয়ে পশ্চিমা বেশিরভাগ দেশে অস্ত্রের টান পড়েছে। গত কয়েক মাসে এসব দেশ অগণিত অস্ত্র দিয়েছে ইউক্রেনকে।
যুদ্ধে যত অস্ত্র লাগে তা সরবরাহ করা হবে বলে পশ্চিমা নেতারা বারবার কিয়েভকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এখন তা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।
দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস গতকাল (শনিবার) এই খবর দিয়েছে। ন্যাটোভুক্ত ৩০টি দেশের মধ্যে অন্তত ২০টি দেশ বর্তমানে অস্ত্র-স্বল্পতায় ভুগছে বলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন এই জোটের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি জানান- ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি এবং নেদারল্যান্ডের মতো গুটিকয়েক বড় সমরশক্তি অধিকারী দেশের কাছে পর্যাপ্ত অস্ত্রের মজুদ আছে। শুধুমাত্র এইসব দেশই এখন ইউক্রেনকে অস্ত্রের চালান পাঠাতে পারবে।
গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে আমেরিকা এবং পশ্চিমা দেশগুলো এই পর্যন্ত ইউক্রেনকে প্রায় ৪ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে। এসব দেশ ইউক্রেনকে যে পরিমাণে সামরিক সহায়তা দিয়েছে তা ফ্রান্সের সারা বছরের সামরিক বাজেটের সমান।
পশ্চিমা দেশগুলোর এই অস্ত্রের বন্যা বইয়ে দেয়ার বিপরীতে রাশিয়া বারবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে, অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিজয়ী করা যাবে না বরং এতে শুধু যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে। কিন্তু আমেরিকা ও পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার এই হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে।
আমেরিকার সর্বশেষ ফ্যাক্ট শিটের তথ্য অনুসারে, পেন্টাগন গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে ১,৯০০ কোটি ডলারের সরাসরি সামরিক সহযোগিতা দিয়েছে। এর আওতায় আমেরিকা ৪৬ হাজার এন্টি আর্মর সিস্টেম, ২০০ হাউইটজার কামান, আটত্রিশটি দীর্ঘ পাল্লার হাইমার্স ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং বিপুল পরিমাণে ভারী অস্ত্র, গাড়ি এবং গোলাবারুদ দিয়েছে। এছাড়া, আমেরিকা ১৫৫ মিলিমিটারের নয় লাখ বিশ হাজার আর্টিলারি গোলা সরবরাহ করেছে।
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে