এবার থেকে টুইটারের অফিসেই ঘুমোবেন কর্মীরা! রাতারাতি তৈরি বেডরুমও

 সপ্তাহান্তের ছুটির শেষে সোমবার অফিসে ফিরেই চমকে গেছেন সান ফ্রান্সিস্কোয় টুইটার (twitter) হেডকোয়ার্টারের কর্মীরা। রাতারাতি বেডরুমে পরিণত হয়েছে অফিসের বেশ কয়েকটি ঘর (turns twitter office rooms into bedrooms)। কুইনসাইজ বিছানা-বালিশ তো আছেই, সঙ্গে রয়েছে উজ্জ্বল কমলা কার্পেট, জানলায় ফ্যান্সি পর্দা, চেয়ার, টেবিল ল্যাম্প এবং একটি বেডসাইড টেবিল। ব্যাপারটা কী!
ব্যাপার হল, সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মীদের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত জীবন ছেড়ে এবার অফিসেই রাত কাটানো ‘স্বাভাবিক’ হয়ে যেতে চলেছে, এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। মাস্ক (Elon Musk) নাকি ঠিক করেছেন, টুইটারে নতুন প্রজেক্টে কাজ করছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন কর্মীকে আপাতত শুধুমাত্র কাজে মন দিতে হবে। অফিসের বাইরে জীবন নিয়ে না ভেবে আপাতত কাজ হবে তাঁদের একমাত্র ধ্যান জ্ঞান। কাজ শেষে ঘুমোতে হবে অফিসে। সেই কারণেই নাকি একাধিক অফিস রুমকে রাতারাতি বেডরুমে পরিণত করে ফেলা হয়েছে।
যদিও এই বিষয়ে মাস্কের তরফে অফিশিয়ালি কিছু জানানো হয়নি কর্মীদের। কিন্তু কর্মসংস্কৃতি নিয়ে মাস্কের এযাবৎ কার্যকলাপে অন্য কিছু ভাবতে পারছেন না কর্মীরা। মাস্ক নিজেও নাকি ক্যালিফোর্নিয়ায় টেসলার কনফারেন্স রুমেই রাত কাটিয়েছেন। পরে যদিও টেসলার ক্যাম্পাসের মধ্যেই ছোট্ট একটি কেবিন ছিল তাঁর, যার দাম ছিল ৫০ হাজার ডলার।
প্রসঙ্গত, টুইটারের মালিকানা মাস্কের হাতে আসার পরই বিশ্বজুড়ে বিপুল পরিমাণ কর্মী ছাঁটাই করা হয় টুইটারে। মাস্কের ঠিক করে দেওয়া ‘ডেডলাইন’ মিট করতে কাজের চাপে কালঘাম ছুটেছিল সংস্থার কর্মীদের। সংস্থার এক মহিলা কর্মীর অফিসের ভিতরেই মেঝেতে শুয়ে ঘুমানোর ছবি ভাইরাল হয়েছিল নেটমাধ্যমে। স্পষ্টতই, কাজের ঠেলায় বাড়ি গিয়ে ঘুমানোরও সুযোগ পাচ্ছিলেন না কর্মীরা। ভয়ঙ্কর এই কর্মসংস্কৃতি নিয়ে মাস্ককে তুলোধনা করেছিলেন নেটিজেনরা। কিন্তু তাতে যে বিশ্বের পয়লা নম্বর ধনকুবেরের কিছু যায় আসেনি, তা বলাই বাহুল্য। 
যদিও কতগুলি অফিস ঘরকে এভাবে বেডরুমে রূপান্তরিত করা হয়েছে তা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, অফিসের প্রতি তলাতে ৪-৫ টি বেডরুম তৈরি করা হয়েছে।

খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে
 

news