অগ্নিগর্ভ ব্রাজিল, বোলসোনারো সমর্থকদের কাঠগড়ায় তুললেন লুলা

 ব্রাজিলের (Brazil) নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছেন অতি দক্ষিণপন্থী নেতা জাইর বোলসোনারো (Jair Bolsonaro)। সেদেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, বামপন্থী নেতা লুলা দা সিলভা (Lula da Silva) বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন। এবার ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়া উত্তপ্ত হয়ে উঠল বোলসোনারো-পন্থীদের বিক্ষোভে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে গাড়িতে। পাশাপাশি পুলিশের সদর দপ্তরেও নাকি ঢোকার চেষ্টা করেছে বিক্ষোভকারীরা। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন প্রেসিডেন্ট লুলা অভিযোগ করেছেন, বোলসোনারো হারের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে এই ধরনের হামলায় উসকানি দিচ্ছেন।

গত সোমবারই অক্টোবরের নির্বাচনের ফলাফল মেনে লুলাকে প্রেসিডেন্ট করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিলমোহর দেয় ব্রাজিলের শীর্ষ নির্বাচনী আদালত। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে ভাঙচুর। এই পরিস্থিতিতে লুলার মন্তব্য, ”বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হার মেনে নিতে পারছেন না। আর তাই লাগাতার রাস্তায় এই ধরনের বিক্ষোভে উসকানি দিয়ে চলেছেন।” প্রসঙ্গত, আগামী ১ জানুয়ারি শপথ নেবেন লুলা।


বোলসোনারোকে আক্রমণ করার সময় লুলা এও বলেছেন, ”উনি সেই চিত্রনাট্যই অনুসরণ করেছেন যা বিশ্বের সমস্ত ফ্যাসিবাদীরাই করে থাকেন।” তাঁর এহেন মন্তব্য থেকে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা। তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ, বাইডেনের কাছে হেরে প্রেসিডেন্ট পদ খোয়ানোর পরে তিনি হিংসায় উসকানি দেন তাঁর অনুগামীদের। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি আমেরিকার ক্যাপিটল হিলে চলা তাণ্ডবের পিছনে ট্রাম্পের উসকানিই ছিল চালিকাশক্তি।

অক্টোবর মাসে ব্রাজিলের (Brazil President) সাধারণ নির্বাচন হয়। সেখানে জয় পাওয়ার বিষয়ে একেবারে নিশ্চিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো ও তাঁর দলের কর্মীরা। সকলেই ধরে নিয়েছিলেন, টানা দ্বিতীয়বার বোলসোনারোর নেতৃত্বে ব্রাজিলে সরকার গঠন হতে চলেছে। আমজনতা থেকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ- কেউই ধারণা করতে পারেননি যে নির্বাচনে জিততে পারেন লুলা। যদিও ২০১৮ সাল থেকে চার বছর ধরে নানা অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছে অতি দক্ষিণপন্থী সরকার। কোভিডের সময়ে সেদেশের প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তার জন্য অনেকাংশে দায়ী ছিল সরকারের ভুল নীতি। তবুও এইভাবে ফিরে আসবেন বামপন্থী লুলা, এমনটা কেউই আঁচ করতে পারেননি।
সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে

news