বিভিন্ন দেশে বাস্তুচ্যুত ১০ কোটি! রাষ্ট্রসংঘের নয়া রিপোর্টে ভাঙল আগেকার রেকর্ড

বিদায়ী বছরে প্রায় ১০ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। যা এখনও পর্যন্ত কোনও বছরের ক্ষেত্রে রেকর্ড। এইসব মানুষদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার পিছনে রয়েছে হিংসা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নিপীড়নের মতো কারণ। তবে রাষ্ট্রসংঘ বিভিন্ন উপায়ে এইসব মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। এইসব মানুষগুলির জন্য আইনি ও নিরাপদ উপায়ের কথা ভেবেছে। তবে ২০২১ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৯ কোটির মতো। যদিও এইসবের মধ্যে আশার আলো একটাই রাষ্ট্রসংঘের তরফে বাস্তুচ্যুত লোজনদের জন্য ১.১৩ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ইউক্রেন থেকে ইথিওপিয়া, বুর্কিনাফাসো থেকে সিরিয়া এবং ভারতের প্রতিবেশী মায়ানমারেও। হাজার হাজার পরিযায়ীকে দেখা গিয়েছে ইউরোপকে পছন্দের গন্তব্য হিসেবে বেছে নিতে। 

অনেকে আবার মানব পাচারকারীদের খপ্পড়েও পড়েছেন। অনেকেই আবার ভূমধ্যসাগরের মধ্যে দিয়ে বিপজ্জনকভাবে যাত্রা করেছেন। AD ইউরোপ জুড়ে ইউক্রেনের শরণার্থী গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে। তারপর বিভিন্ন সময়ে ইউক্রেনও পাল্টা আঘাত গেনেছে। ইতিমধ্যেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ৮০ লক্ষের মতো শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন। পোলান্ড ও বেলেরুশে শরণার্থীদের সঙ্গে করা আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইথিওপিয়ার পরিস্থিতি ইথিপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলে সশস্ত্র সংঘাতের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত। ইথিপিয়ার জাতীয় বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ চলছে। 

রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, সেখানে শরণার্থীদের পর্যাপ্ত খাবার , ওষুধ এবং বিশুদ্ধ জলের অভাব রয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের তরফে ইথিওপিয়ার বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নেোয়া প্রায় সাড়ে সাতলক্ষ মানুষের জন্য তহবিল সংগ্রহের আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছে. যদি তা না পাওয়া যায়, তাগলে অনেক শরণার্থীর খাওয়ার কিছুই থাকবে না। ইয়েমেনে পরিযায়ীদের অবস্থা খারাপ ইয়েমেনে সৌদি সরকারপন্থী জোটের সঙ্গে হুথি বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে সাতবছরের বেশি সময় ধরে। এই সংঘাতে প্রায় ৪৩ লক্ষ মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে। সেখানে মহিলাদের পরিস্থিতি আরও খারাপ। সিরিয়ায় কবে শান্তি ফিরবে গত ১১ বছর ধরে সিরিয়ায় যুদ্ধ চলছে। দেশের প্রায় ৫০ লক্ষ শিশু শান্তি কী তা জানে না।

 ৮০ হাজারের বেশি সিরিয়াবাসী জর্ডনে থাকা ক্যাম্পকেই তাদের বাড়ি বলে জানে। যা পরিস্থিতি, তাতে অদূর ভবিষ্যতেও তাদের দেশের বাইরেই থাকতে হতে পারে। প্রায় ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার সিরিয়াবাসীর জর্ডনের শিবিরে শরণার্থী হিসেবে রয়েছেন। রোহিঙ্গাদের মায়ানমার ত্যাগ অব্যাহত পাঁচ বছরের বেশি সময় আগে সামরিক অভিযানের পর থেকে রোহিঙ্গারা তাদের বাড়ি ঘর ছেড়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। প্রায় ১০ লক্ষের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারের ক্যাম্পে রয়েছে। এই বছরেই রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগ অব্যাহত রয়েছে। অনেকেই আন্দামান সাগর পেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে মারাও যাচ্ছে। নৌকায় ইউরোপ পৌঁছনোর চেষ্টায় মৃত্যু বহু মানুষের নৌকায় ইউরোপ পৌঁছনোর চেষ্টায় মৃত কিংবা নিখোঁজ মানুষের সংখ্যা বেড়েছে এই বছরে। বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে ডুবে। গত মার্চে লিবিয়ার উপকূলে কমপক্ষে ৭০ জন পরিযায়ীর মৃত্যু হয় জলে ডুবে।


খবর দ্য ওয়ান ইন্ডিয়া/এনবিএস/২০২২/একে
 

news