টুইটারে দেওয়া যাবে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন, আয় বাড়াতেই কি ৩ বছর পর উঠল নিষেধাজ্ঞা


টুইটারের (Twitter) দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একাধিক চমক দিয়েছেন ইলন মাস্ক। পাশাপাশি জড়িয়ে পড়েছেন একাধিক বিতর্কেও। বিপুল অর্থে টুইটার কেনার পর আর্থিক সংকটে পড়েছেন ধনকুবের। তাই এবার আয় বাড়াতে নতুন পন্থা নিতে চলেছেন ইলন। তিন বছর আগে টুইটারে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের ওপর জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞা শিথিল (Political Ads) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
মঙ্গলবার সংস্থার তরফ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। টুইটারে বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে যে বিধিনিষেধ বা পলিসি রয়েছে তা পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। টিভি ও অন্যান্য মিডিয়ার মতো বিজ্ঞাপন নীতি গ্রহণ করার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা চলছে, বলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
২০১৯ সালে ফেসবুকের পথে হেঁটে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধের ঘোষণা করেছিল টুইটার। সেইসময় টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, রাজনৈতিক নেতাদের উচিত কোনও বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করা, সেটা কেনা নয়। এই মর্মেই রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। টুইটারের তৎকালীন শীর্ষ কর্তা জ্যাক ডরোসি টুইট করে জানিয়েছিলেন, ‘রাজনৈতিক বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছনর জন্য সেটা কিনে নয় অর্জন করে পাঠানো উচিত।’
টুইটারে আর্থিক সংকট প্রকট। বিশ্বের একাধিক অফিসে ভাড়া বাকি। সেই নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। এমনকী পুলিশের খাতাতেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ইলন মাস্ক টুইটার কেনার পরে জানিয়েছিলেন, আয় কমেছে মাইক্রো ব্লগিং সাইটটির। তাই আয় বাড়ানোর বিভিন্ন রাস্তা খুঁজতে হচ্ছে সংস্থাকে। তিন বছর আগের সেই নিষেধাজ্ঞা (Relax Ban) তুলে নেওয়ার ফলে টুইটারের আয়ের পথ কিছুটা প্রশস্ত হল বলে মনে করা হচ্ছে।

 খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২৩/একে
 

news