মেক্সিকোয় বিমান নামার পরেই মুর্হুমুর্হু গুলি, ভয়ে সিটের নীচে লুকোলেন যাত্রীরা 

মেক্সিকোর উত্তরে কুলিয়াকান শহরের একটি বিমানবন্দরে মুর্হুমুর্হু গুলি চলছে (Mexico Violence )। বিমান অবতরণের পরেই শুরু হয়ে গেছে গোলাগুলি। গোটা বিমানবন্দর ঢেকে গেছে বারুদের ধোঁয়ায়। ভয় আর আতঙ্কে সিটের নীচেই লুকিয়ে পড়েন যাত্রীরা। কান্নার আওয়াজ যাতে বাইরে না যায় সে জন্য বাচ্চাদের মুখ চেপে ধরেন বাবা-মায়েরা। 
ভয়ঙ্কর দাঙ্গা বেঁধে গেছে মেক্সিকোতে (Mexico Violence )। কুখ্যাত কারাবন্দি মাদকসম্রাট ‘এল চাপো’র এক ছেলেকে গ্রেফতারের পরেই পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠেছে। এল চাপোর গ্যাংস্টারেরা নাশকতা তৈরির চেষ্টা করছে এমন খবর পাওয়ার পরেই রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। বিমানবন্দরে গ্যাংস্টারেরা ঘোরাঘুরি করছে এমন খবর পেয়েই সেখানে গিয়ে পৌঁছয় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। সেই সময় অ্যারোমেক্সিকো বিমানটি ল্যান্ড করছিল এয়ারপোর্টে। বিমানটিকে ঘিরেই দু’পক্ষের গুলির লড়াই শুরু হয়ে যায়। 
 
বিমানেরই এক যাত্রী ডেভিড টেলেজ জানিয়েছেন সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। ক্রিসমাস কাটিয়ে স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে দেশে ফিরছিলেন ডেভিড। তাঁর ছেলেমেয়েদের বয়স ৭ বছর, ৪ বছর ও ১ বছর। টেলেজ বলছেন, বিমানটি ল্যান্ড করার সঙ্গে সঙ্গেই কান ফাটানো গুলির আওয়াজ ভেসে আসে। বিমান থেকে আর নামতে দেওয়া হয়নি যাত্রীদের। সিকিউরিটি অ্যালার্ম বেজে ওঠে। আর বাইরে থেকে ভেসে আসতে থাকে অবিরাম গুলির আওয়াজ।
৪০০ গ্রাম ওজনের শিশু, দু’হাতের তালুতে ধরা যায়, কীভাবে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম নবজাতকের প্রাণ বাঁচল
আতঙ্কে কেঁদে ওঠেন টেলেজের শিশু সন্তান। তার মুখ চেপে ধরতে বাধ্য হন বাবা। বাচ্চারা ভয়ে লুকিয়ে পড়ে সিটের নীচে। বিমানের বাকি যাত্রীরাও সিটের নীচে লুকনোর চেষ্টা করতে থাকেন। সকলের মুখেই ভয় আর আতঙ্কের ছাপ ছিল স্পষ্ট। কাদের মধ্যে গুলির লড়াই হচ্ছে, কে কাকে গুলি করছে, সেটা বোঝাই যায়নি। ঘটনার ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অনেক যাত্রীই। সেইসবই ভাইরাল হয়েছে।
এর আগে আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন মেক্সিকোর কুখ্যাত মাদক মাফিয়া ‘এল চাপো’-র স্ত্রী এমা কোরোনেল আইপুরো। সে সময়ও দেশজুড়ে দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এবার তার এক ছেলে ধরা পড়ল। ছয় মাস ধরে মাদক মাফিয়া ওভিদিও গুজম্যান লোপেজকে ধরার জন্য ফাঁদ পেতেছিল পুলিশ। বৃহস্পতিপার ধরা পড়ে সে। এরপরেই শহরজুড়ে তাণ্ডব শুরু করে মাদক মাফিয়ার দলের সদস্যেরা। রাস্তাঘাট অবরোধ করে গাড়িতে আগুন লাগানো হয়, গুলি চলে বিমানবন্দরে। বিমানের গায়েও গুলি বিঁধেছে বলে খবর।
খবর দ্য ওয়ালের/এনবিএস/২০২৩/একে

news