বিমানবাহী রণতরী ডুবিয়ে দিল ব্রাজিল

ব্রাজিল তার একটি অচল বিমানবাহী রণতরী আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবিয়ে দিয়েছে। পরিবেশবাদী গ্রুপগুলো  এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কারণ পুরানো জাহাজটি বিপুল পরিমান বিষাক্ত উপাদানে পরিপূর্ণ।

ব্রাজিলের নৌবাহিনী গত শুক্রবার ব্রাজিলের উপকুল থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে আটলান্টিক মহাসাগরেরপ্রায় ৫০০০ হাজার মিটার গভীরে “পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত পন্থায়” রণতরীটি ডুবিয়ে দেয়া হয়। ৬০ বছরের পুরানো বিমানবাহী রণতরী “সাও পাওলো” তলায় ছিদ্র করে ডুবিয়ে দেয়া হয়।

জাহাজটিকে গ্রহণ করতে কোন বন্দর রাজি না হওয়ার পর এটিকে ডুবিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ব্রাজিলের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন “সব চাইতে নিরাপদ” এলাকায় জাহাজটি ডুবানো হয়েছে তবে পরিবেশবিদরা তাদের এ সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন যে, যুদ্ধজাহাজটিতে শত শত টন অ্যাসবেস্টস, ভারী ধাতব পদার্থ ও অন্যান্য বিষাক্ত দ্রব্য রয়েছে যা সাগরের পানির সাথে মিশে সামুদ্রিক খাদ্যচক্রকে দুষিত করে তুলবে।

১৯৫০ এর দশকে ফ্রান্স এ রণতরীটি নির্মান করেছিল। দেশটির নৌবাহিনী ৩৭ বছর ধরে এটি ব্যবহার করে। তখন এর নাম ছিল ফোচ। বিংশ শতকের নৌ ইতিহাসে জাহাজটি স্থান করে নিয়েছে। ১৯৬০এর দশকে প্রশান্ত মহাসাগরে ফ্রান্সের প্রথম পারমানবিক পরীক্ষায় সাও পাওলো অংশ নেয়। এ ছাড়া ১৯৭০ থেকে ১৯৯০ দশক পর্যন্ত আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও সাবেক যুগোশ্লাভিয়ার ঘটনায় এ রণতরীটি সক্রীয় ভূমিকা পালন করেছিল।

ব্রাজিল ২০০০ সালে এক কোটি ২০ লাখ ডলার দামে ২৬৬ মিটার রণতরীটি কিনে নেয়। ২০০৫ সালে এক অগ্নিকান্ডে জাহাজটির ক্ষমতা লোপ পায়। গত বছর ব্রাজিল একটি তুর্কী কোম্পানি সোক ডেনিজসিলিককে জাহাজটিকে ভাঙ্গার কতৃত্ব প্রদান করে তবে তুরস্কের পরিবেশে করতৃপক্ষ এতে বাধা দিলে ভাঙ্গার পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়।

এনবিএস/ওডে/সি

news