জিমে ঢুকে আক্রমণ যুবকের, পাল্লা দিয়ে লড়ে তাকে ধরে ফেললেন তরুণী!
অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও জিমে গা ঘামাচ্ছিলেন নাশালি। একাই ছিলেন তখন, দরজার বাইরে অচেনা এক যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে নিজেই গিয়ে দরজা খুলে দেন। তারপর আবার ব্যায়ামে মন দেন। তিনি জানতেন না, অযাচিতভাবে বিপদ ডেকে এনেছেন নিজেই। ওই যুবক জিমের ভিতরে ঢুকেই নাশালিকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু বিন্দুমাত্র ঘাবড়ে না গিয়ে সঙ্গে সমান তালে লড়ে যান ২৪ বছরের তরুণী (Woman Fight Off Attacker)। তাঁর হাল না ছেড়ে দেওয়া মনোভাবের জন্যই শেষমেষ তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় ওই দুষ্কৃতী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ঘটনার ভিডিও (Viral video) ছড়িয়ে পড়তেই নাশালিকে ধন্য ধন্য করেছেন নেটিজেনরা।
হতবাক করা ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার (Florida) ট্যাম্পায়। ২৪ বছরের নাশালি আলমা একজন ফিটনেস মডেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। নিয়মিতই জিমে গিয়ে নানা ধরনের শারীরিক কসরত করেন তিনি। গত ২২ জানুয়ারিও রোজকার মতোই ইনউড পার্ক অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের জিমে গিয়েছিলেন তরুণী। তিনি যখন ব্যায়াম করছিলেন, তখন অন্য কেউ ছিল না সেখানে। ওজন তুলছিলেন নাশালি, তখনই দেখতে পান জিমের বন্ধ দরজার ওপারে এক যুবক দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ব্যায়াম থামিয়ে তাঁকে দরজা খুলে দিয়ে এসে ফের নিজের কাজে লেগে পড়েন তরুণী।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হঠাৎ করেই নাশালির কাছে এসে তাঁকে ছোঁয়ার চেষ্টা করে ওই যুবক। বুঝতে পেরেই সঙ্গে সঙ্গে ধাক্কা মেরে তাকে সরিয়ে দেন নাশালি। তাতেও থামে না ওই যুবক। তরুণীকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করে, তাঁকে মাটিতে ফেলে দেয় সে। কিন্তু একটুও দমে না গিয়ে সমান তালে তার সঙ্গে লড়ে যান নাশালি। বেশ কিছুক্ষণ ধ্বস্তাধ্বস্তির পর অবশেষে হাল ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক।
ঘটনার পরেই হিলসবরো কাউন্টি শেরিফ অফিসে অভিযোগ দায়ের করেন নাশালি। তল্লাশি চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শেরিফ অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম জেভিয়ার থমাস জোন্স। তবে সে কোথাকার বাসিন্দা, কেনই বা সে জিমের ভিতর ঢুকে নাশালিকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল সে বিষয়ে কিছু জানায়নি পুলিশ। হিলসবরো কাউন্টি শেরিফ অফিসের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে জিমে ঢুকে নাশালিকে আক্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে ওই যুবককে।
যুবকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ে গিয়ে নিজেকে তার আক্রমণ থেকে বাঁচানোর সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে নেটমাধ্যমে। নাশালির লড়াকু মনোভাব এবং সাহসিকতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। ‘আমার পরামর্শ হল, কখনও হাল ছেড়ে দেবেন না। আমার বাবা-মা আমাকে সব সময় সেটাই শিখিয়েছেন। আমি যখন ওর সঙ্গে লড়াই করছিলাম তখন আমার মাথাতেও সেটাই কাজ করছিল,’ জানিয়েছেন নাশালি।
খবর দ্য ওয়ালের?এনবিএস/২০২৩/একে


