শরণার্থীদের জন্য কঠোর নীতিমালার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র
মঙ্গলবার বাইডেন প্রশাসন এমনটি জানিয়ে বলেন, সাধারণত দেশটির দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদেরকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে যারা কিনা প্রবেশের চেষ্টা করেন তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া নিওমটি কোনোভাবেই আপাৎত কার্যকর করা যাচ্ছেনা যেহেতু এটির উপর আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে।
বেশ কিছু আইনী জটিলতা ও চ্যলেঞ্জের কারণে মেক্সিকান ছাড়া অন্য শরণার্থী যারা কিনা তৃতীয় আরেকটি দেশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেনা তাদের জন্য এটী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করাও একটি জটিল বিষয় বলে জানায় বাইডেন প্রশাসন।
২০১৯ সালে ট্রাম্প প্রশাসন শরণার্থীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নিয়ম জারি করলেও ফেডারেল আপিল বিভাগ তা স্থগিত করে পুনবিবেচনার জন্য ৩০ দিনের মধ্যে জনমত যাচাইয়ের জন্য পাঠানোর আদেশ দেন।
দেশটিতে কোভিড মহামারির সময় সময় টাইটেল ৪২ নামে একটি নিয়ম চালু করা হয়েছিল। যেখানে কিনা মহামারির জন্য আশ্রয়ের খোঁজে আসা শরণার্থীদেরকে অনুপ্রবেশে বাধা দেয় সরকার। তবে এ নিয়মটি বাতিলের পরে নতুন করে এটি কার্যকর করা যাবে বলে আশা করছে প্রশাসন বিশেষজ্ঞরা। যদিও টাইটেল ৪২ এর মেয়াদটি মে মাসে শেষ হবার কথা ছিল। কিন্ত রিপাবলিক শিবিরের বাধার মুখে দুইবার আইনী জটিলতায় পড়ে বিষয়টি।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও জাস্টিস ডিপার্ট্মেন্ট জানায়, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর এ সংখ্যা ১১ হাজার থেকে বেড়ে ১৩ হাজারে গিয়ে পৌঁছেছে। কিন্ত এই বৃদ্ধির সংখ্যা ঠাকানো যাবেনা যদিনা টাইটেল ৪২ বিলুপ্ত না করা হয়। এক পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৬ হাজার লোক অনুপ্রবেশ করবে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ। আর নভেম্বরে তা ৭ হাজার ৭০০ ও মধ্য ডিসেম্বর নাগাদ ৮ হাজার ৬০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রশাসনের।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেন প্রশাসন মানবিক বিবেচনায় কিছুটা ছাড় রেখেছেন কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া, ভেনিজুয়েলা ও ইউক্রেন নাগরিকদের জন্য।
এদিকে মাত্র ৫০ লাখ জনসংখ্যার কোষ্টারিকা দেশটিতে ২০২১ সালের ডিসেম্বর নাগাদ জমা পড়া মোট শরণার্থীর আবেদনের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্র, জার্মান ও মেক্সিকোতে করা আবেদনের চেয়ে কম। এর আগে ২০১২ সালে দেশটি মাত্র ৯০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেয় সরকার। অন্যদিকে ২০২২ সালে হন্ডুরাস, কিউবা, হাইতি ও ভেনিজুয়েলা থেকে মেক্সিকোতে আশ্রয়ের জন্য মোট আবেদন জমা পড়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৭৮টি।
এনবিএস/ওডে/সি


